মার্সিডিজ মিউসিয়াম -3
খুব খারাপ লাগছিলো দেশের মানুষের জন্য যারা বিদেশ ভূইয়ে বছরের পর বছর থাকে তাদের যেন কত কষ্ট হয়।
প্রতিদিন সেমিনার হয় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। তারপর দুপুরের পর শুরু হয় ট্রাভেলিং। কোম্পানির পক্ষ থেকে কিছু লোক যারা বাংলাদেশি- বাংলাদেশ অফিশ রিপ্রেসেন্ট করছিলো- আসাদ ভাই, খুব জলি এবং মিশুক। উনি বেশ কয়েকবার আগেও এসেছেন। তার কাছ থেকে ইনফু নিচ্ছিলাম কি কি থাকবে ট্রিপ এ, কোথায় যাচ্ছি নেক্সট এ। আজ বললেন আপনি অটো ভালোবাসেন মার্সিডিজ মিউসিয়াম হবে চমৎকার জায়গা অটো সমন্ধে জানার এবং গত একশো বছরের মডেল কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে তা বুঝার জন্য। বাস থেকে নেমে টিকেট কেটে যখন লিফট এ উঠলাম অবাক হলাম- মনে হলো লিফট না স্পেস শিপ এ উঠছি। একদম উপরের তলায় উঠতে হবে তারপর সিঁড়ি দিয়ে দেখতে দেখতে নিচে নামতে হবে।
প্রথম শুরু হলো ১৯০৫ সালে সাইকেলের সাথে মোটর লাগানো প্রথম মার্সিডিজ প্রডাক্ট দিয়ে।
মার্সিডিজ হলো কার্ল বেঞ্জ ভদ্রলোকের মেয়ের নাম। যেখান থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জ।
এন্ট্রি নেওয়ার সময় পরিচয় পত্র এর মত একটা কার্ড এবং ইনসারটেড ডিভাইস ছিলো। যে কোনো ফ্লোরে এই বাটন যেটা পরিচয় পত্রের সাথে আছে সেটা টিপলে সমস্ত গাড়ির ইতিহাস বলবে আপনার হেড ফোন। একটা ফ্লোরে ২০-৩০ বছর সময়কাল গাড়িগুলো। পাঠকের দেখার জন্য আমি কিছু ছবি যোগ করেছি বই এর সাথে। প্রতিটির গাড়ির স্পেছিফিকেশন মডেল পরিবর্তনের সাথে ফিচার এবং মেয়াদকাল, ফেমাসদের নাম যারা গাড়িটি ব্যবহার করেছে, সমস্ত বিশদ শোনা যাবে। এই ডিভাইসটা আমার ভ্রমন কালের ২০১০ এর সাল অনুযায়ী অনেক আপডেট ছিল। আমি কখনো ভাবিনী এরকম কিছু একটা থাকতে পারে। খুব সুন্দরী একজন মহিলা এগিয়ে এসে জার্মান ভাষায় অনেক আন্তরিক ভাবে কথা বললো, আমি কিছুই বুঝলাম না। শুধু ছবি তুললাম একসাথে। জার্মান ভাষার প্রতি একটা আক্ষেপ থেকে গেলো। আপনি অটো পছন্দ করুন বা নাই করুন মার্সিডিজ বেঞ্জ মিউসিয়াম অবশ্যই ভিসিট করবেন।
Comments
Post a Comment